মার্কেটিং বা বিপণনের
একটি নতুন ও অনন্য আবিষ্কার মাল্টিলেভেল মার্কেটিং। আমেরিকার বিখ্যাত
কেমিস্ট ডঃ কাল রেইন বোর্গ তার উৎপাদিত কৃত্রিম ভিটামিন (যা আয়োডিন ও ভিটামিন ‘ই’ এর সংমিশ্রনে
তৈরী) বাজারজাত করনের জন্য সর্বপ্রথম বহুমাত্রিক
পদ্ধতি এর ধারনা প্রবর্তন করেন। পাশাপাশি
‘ক্যালিফোনিয়া ভিটামিন, নামে
একটি কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করেন যা বিশ্বের প্রথম নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানী বলে স্বীকৃতি পায়। কারন ১৯৪০ সালের শুরুতে এটিই
একমাত্র প্রতিষ্ঠান যার বিক্রয়
কার্যক্রম ছিল বহুস্তরে বিভক্ত, যে
ধারনা হতে জন্ম নেয় বহুমাত্রিক বিপণন
পদ্ধতি বা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং পদ্ধতি। আমরা বিপণন বা
মার্কেটিং এর বিভিন্ন ধরণ বা কৌশল দেখে থাকি বিশেষ কয়েকটি ধরণ হলোঃ
(ক) সরাসরি
বিপণন পদ্ধতি (Direct Selling)
(খ) ট্রেডিশনাল
পদ্ধতি (Traditional System)
(গ) টেলি মার্কেটিং (Tele
Marketing)
(ঘ) ইন্টারনেট মার্কেটিং
(Internet Marketing) ইত্যাদি।
- এমএলএম ব্যবসায় সরাসরি ক্রেতাগণ জড়িত থাকে বিধায় ক্রেতারা নিজেদের পছন্দসই পণ্য বেছে নেয়ার সুযোগ পায়।
- এমএলএম ব্যবসায় পণ্য বিক্রয়ের উপর কমিশন অর্জন করা যায় বিধায় অসংখ্য মানুষ এ ব্যবসা হতে আয়ের সুযোগ পায়।
- টীম বা দল গঠন করে দীর্ঘমেয়াদী ও রয়েলটি আয়ের সুযোগ থাকে বিধায় মাল্টিলেভেল বা নেটওয়ার্ক মার্কেটিং পদ্ধতিকে অনেকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে কর্মসংস্থান খুজেঁ পেয়েছে।
- ট্রেডিশনাল কোম্পানীগুলো সামাজিক দায়িত্বপালনে (Social Responsibility) সচরাচর জড়িত থাকে কিন্তু নেটওয়ার্ক বা এমএলএম কোম্পানীগুলো সামাজিক দায়িত্বপালন অত্যাবশ্যক কারণ ক্রেতা সন্তুষ্টিই এমএলএম ব্যবসা মূল লক্ষ্য।
- এমএলএম কোম্পানীগুলো সরাসরি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে জড়িত যার দরুন ব্যবস্থাপনা ও ক্রেতা-পরিবেশকদের মধ্যে বিভিন্ন মতামত ও অভিযোগসমূহ নিষ্পত্তি হয়ে থাকে।